এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর, এসিআই লজিস্টিকস
সাব্বির নাসির এসিআই লজিস্টিকস লিমিটেডের (স্বপ্ন) এর এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর হিসেবে কর্মরত। একজন মিউজিশিয়ান ও প্রকৌশলী থেকেও আজ তিনি সফল করপোরেট পারসন।
'আমি মিউজিশিয়ান। মাঝে মাঝে মিউজিক করতাম। মিউজিক করতে গেলে আবার চাকরি করা যায় না। বিভিন্ন সমস্যা হচ্ছিল। মার্কেটিং এ পজিশন তখন খুব ভালো ছিল। আমরা ইঞ্জিনিয়াররা প্রচুর পরিশ্রম করতাম তারপরেও বেতন বাড়ত না। পরে অনেক চিন্তা করলাম। ক্যারিয়ারের কথা ভাবলাম। এমআইটি বিভিন্ন জায়গা থেকে ভালো মানুষজনকে এক জায়গায় করে।
আমি বুয়েট থেকে মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ার সম্পন্ন করি। পরে আইবিএ থেকে এমবিএ সম্পন্ন করি। কর্মজীবনের শুরুটা হয় বাটা কোম্পানীতে যোগদানের মাধ্যমে। প্রথমে ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টে ছিলাম। এরপরেও অনেক গুলো কোম্পানিতে কাজ করি। ইঞ্জিনিয়ার থেকে মার্কেটিং এ আসার কারণ বাটায় যখন যোগদান করি তখন আমার বেতন খুব কম ছিল। তখন আমি বিবাহিত ছিলাম,ঠিকমতো সংসার চলত না।
এমআইটির একটি সংস্কৃতি আছে ওটার মধ্যে মানুষ যখন ঢুকে যায় তখন সে একেবারে ভিন্ন ধরনের মানুষ হয়। এম আইটিতে আমরা মানুষকে দক্ষ করে গড়ে তুলি। যাতে করে সে ইঞ্জিনিয়ারিং এ ভালো একটা স্থান তৈরি করতে পারে। ২২ বছর আমি কাজ করেছি। হঠাৎ দেখলাম বাংলাদেশে দিন দিন পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে। আমি মনে করলাম আমার গ্রুপের সবার টেকনোলোজি সম্পর্কে আরো জানা দরকার।
স্বপ্ন সুপার শপ নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, স্বপ্ন স্বপ্নের মতো। আমাদের স্বপ্ন কৃষকদের ভাগ্যের উন্নয়ন করা। তাদের কাছ থেকে পণ্য নিয়ে আসার চেষ্টা করি। এবং ক্রেতাদের সন্তুষ্ট অর্জনের জন্য কাজ করছি। যাতে তারা তাদের স্বপ্নগুলো পূরণ করতে পারে। স্বপ্ন সাধ্যের মাঝে যে পার্থক্য তা কমে আসে। স্বপ্নের সফল হওয়ার প্রথম কারণ হল কাষ্টমারের সন্তুষ্টতা নিয়ামক। বাংলাদেশের কাষ্টমার কি চাচ্ছে তা আমরা বুঝতে পেরেছি তাই তাদের চাহিদা পূরনের জন্য আমরা নিরলশভাবে কাজ করে যাচ্ছি।
তিনি নতুনদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমাদের প্রতিটি মানুষের ভিশন থাকতে হবে আমি কি করব, কি করতে চাই। সেই লক্ষ অনুযায়ী আগাতে হবে সামনের দিকে। যাদের সাথে কাজ করবে, তাদেরকে বোঝার ক্ষমতা থাকতে হবে, ভালো সম্পর্ক রাখতে হবে। যে কোনো সিদ্ধান্তে পৌছানোর জন্য সিদ্ধান্ত নিতে পারেন কিনা। ভিশন খুব গুরুত্বপূর্ণ। আপনি কি করতে ভালোবাসেন। মার্কেটে কি দরকার। এমন কিছু করেন যা মার্কেটে নেই। টেকনোলোজি আগামী ৫-১০ বছরের মধ্যে সমগ্র বিশ্বকে পরিবর্তন করে দিবে। টেকনোলোজি সম্পর্কে প্রত্যেক তরুণদেরকে ধারণা রাখতে হবে। ভবিষ্যত এমন দিকে যাচ্ছে যাতে টেকনোলোজি জানা খুবই দরকার।
তরুণ উদ্যোক্তাদেরকে উদ্দ্যশ্য করে তিনি বলেন, আপনি এমন একটি ব্যবসা চিহ্নিত করবেন যেটা বাজারে নেই। কোনো একটি আইডিয়া কে সফল করতে হলে নিয়ম শৃঙ্খলা মেনে চলতে হবে। আপনার ব্যবসার মডেল কি। সফল হতে হলে প্রচুর বই পড়তে হবে। তরুণদের ব্যবসায়িক পরিকল্পনার ক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে কোথায় টাকা খরচ করছেন। খরচ করবেন খুব কম। আয় বুঝে ব্যয় করবেন। ছোট থেকে বড় হতে হবে। এমন একটা ব্যবসা শুরু করেন যেটা বড় হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। এমন কিছু করেন যেটা অসংখ্য মানুষের দরকার। আমাদের দেশকে আরো সামনের দিকে এগিয়ে নিতে হবে। তাই তরুণদেরকে সময় নষ্ট করা যাবে না।