বিনা উদ্ভাবিত জীবাণু সার বদলে দেবে কৃষি ব্যবস্থাপনা
বীজে জীবানু সার মিশিয়ে বপন করা হলে ডাল ও তেল জাতীয় ফসল উৎপাদনে ইউরিয়া সার ব্যবহারের প্রয়োজন হবে না। এর ফলে কৃষকের উৎপাদন ব্যয় কমবে এবং পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্থ হবার সম্ভবনা থাকবে না। জীবানু সার ব্যবহারের ফলে উৎপাদন আরো বৃদ্ধিপাবে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর মিলনায়তনে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও এসিআই ফার্টিলাইজার আয়োজিত এক সেমিনারে বিশেষজ্ঞরা এ মতামত তুলে ধরেন।
রবিবার বেলা ১২টায় সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক হৃদয়েশ্বর দত্ত। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এসিআই ফার্টিলাইজারের বিজনেস ডাইরেক্টর মো.বশির আহমেদ। সেমিনারে মুল প্রবন্ধ উপস্তাপন করেন বীনার প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড.মাজহারুল ইসলাম।
সেমিনারে ড. মাজহারুল ইসলাম জানান,বীনা উদ্ভাবিত জীবানু সার বীজের সঙ্গে বপণের আগে পরিমান মতো মিশিয়ে বপন করা হলে পরবর্তীতে আর ইউরিয়া সার প্রয়োগ করা লাগবে না। এটি পরীক্ষা মুলকভাবে ব্যবহারের পর এখন মাঠ পর্যায়ের চাষীদের মাঝে পৌছে দেয়ার উদ্যোগ গ্রহন করা হয়েছে। বীনার সাথে যৌথভাবে এটি উৎপাদন ও পরবর্তীতে বাজর জাত করছে এসিআই ফার্টিলাইজার। কৃষকরা এই প্রযুক্তি ব্যবহার করলে একদিকে যেমন ফসল বেশী পাবেন অন্য দিকে ব্যয় সাশ্রয় হবে বলেও দাবী করেন এই কৃষি বিজ্ঞানী।
এসিআই ফার্টিলাইজারের বিজনেস ডাইরেক্টর মো. বশির আহমেদ জানান,দামে সস্তা হওয়ায় এই জীবানু সার সহজেই কৃষকদের আকৃষ্ট করবে। এটি ব্যবহার অত্যন্ত সহজ বিধায় কোন প্রশিক্ষনের প্রয়োজন হবে না। শুধুমাত্র পানির মতো বীজের সাথে মিশিয়ে বপন করলেই এর কার্যকারিতা পাওয়া যাবে। এসিআই কৃষকদের মাঝে এটি পৌছে দিতে অত্যন্ত আন্তরিক বলে দাবী করেন তিনি।
প্রধান অতিথি হৃদয়েশ্বর দত্ত বলেন, বীনা আজকে যে জীবানু সার উদ্ভাবন করেছে তার কৃতিত্ব বর্তমান সরকারের। কারণ সরকার গবেষণা করার জন্য একটি সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশ নিশ্চিত করেছে বিধায় বীনা বিজ্ঞানীরা এটি আবিষ্কার করতে সক্ষম হয়েছে। মাঠ পর্যায়ে এর সুফল পৌঁছে দিতে সরকারের সাথে এসিআই চুক্তিবদ্ধ হয়েছে। কৃষি বিভাগ এটি মাঠ পর্যায়ে পৌঁছে দেয়ার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করবে বলে জানান তিনি।
সেমিনারে কৃষক,কৃষি কর্মকর্তা,বীজ ব্যবসায়ীসহ শতাধীক লোক উপস্থিত ছিলেন।