গণপরিবহনের বিকল্প হিসেবে মোটরসাইকেলের ব্যবহার বাড়বে
ইয়ামাহা মোটর কোম্পানি পৃথিবীর শীর্ষস্থানীয় মোটরসাইকেল প্রস্তুতকারী কোম্পানিগুলোর মাঝে একটি। জাপানের ইয়োটা, শিজুওকা শহরে ইয়ামাহা মোটর কোম্পানি প্রথম যাত্রা শুরু করে। মোটরসাইকেল উৎপাদন ছাড়াও ইয়ামাহা মোটর কোম্পানি গলফ কার, মেরিন ইঞ্জিন, অটোমোবাইল ইঞ্জিন ইত্যাদি ছাড়াও মিউজিক্যাল ইনস্ট্রুুুমেন্ট তৈরি করে। এসিআই মোটরস বাংলাদেশে ইয়ামাহা মোটরসাইকেলের একমাত্র ডিস্ট্রিবিউটর ও টেকনিক্যাল কলাবোরেটেড পার্টনার। এসিআই স্বনামধন্য কোম্পানির একটি সহায়ক প্রতিষ্ঠান হিসেবে ২০০৭ সালে এসিআই মোটরস যাত্রা শুরু করে। শুরু থেকেই এসিআই মোটরস প্রযুক্তিনির্ভর পণ্যের বিপণনের উপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে আসছে। এরই অংশ হিসেবে ২০১৬ সালে ইয়ামাহা এসিআই মোটরস এর হাত ধরে বাংলাদেশের বাজারে নতুনভাবে যাত্রা শুরু করে। যাত্রা শুরুর পর বাংলাদেশে চাহিদার শীর্ষ মোটরসাইকেল হিসেবে ক্রেতাদের কাছে প্রধান আকর্ষণ ইয়ামাহা ব্রান্ড।
বাংলাদেশে এসিআই মোটরসের নির্বাহী পরিচালক সুব্রত রঞ্জন দাস ইয়ামাহা মোটরসাইকেলের দেশে বিপণন, বিভিন্ন ফিচার, সুবিধা, দেশে এই ব্যবসার সংকট ও নানা সম্ভাবনা নিয়ে কথা বলেছেন। একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি তুলে ধরেছেন এই করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যে কিভাবে ব্যবসা টিকিয়ে রেখেছেন, ভবিষ্যৎ ব্যবসার পরিকল্পনা নিয়ে। সাক্ষাৎকারের সেই চুম্বক অংশ তুলে ধরা হল-
প্রশ্ন: করোনা পরিস্থিতির কারণে দেশে মোটরসাইকেল বিপণন পরিস্থিতি কী?
সুব্রত রঞ্জন দাস: সারাবিশ্বেই এখন ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ রয়েছে। মানুষের চলাচল সীমিত। এই লকডাউন পরিস্থিতি মানুষের চলাচলে বড় গণপরিবহনগুলো বন্ধ রয়েছে। প্রায় ২ মাস যাবৎ মোটরসাইকেল এর বিক্রি বন্ধ। মানুষ যেকোনো কিছু কেনার ক্ষেত্রে দ্বিধাবিভক্তিতে পড়ছে। তবে মানুষের চলাচল প্রয়োজন রয়েছে। যেহেতু গণপরিবহন বন্ধ তাই মানুষ মোটরসাইকেলের দিকে ঝুঁকবে। ঈদকেন্দ্রিক মোটরসাইকেলের একটি বড় চাহিদা থাকে। এ বছর সেটা কিছুটা কমতে পারে তবে আমরা ইয়ামাহা বাইকের বিক্রি ধরে রাখার চেষ্টা করব। বর্তমান পরিস্থিতির কথা চিন্তা করে আমরা আমাদের ২টি মডেলের বাইকের মূল্য সমন্বয় করেছি যা সহজেই গ্রাহকের বাজেট পূরণ করতে পারবে।
এছাড়া আরও বেশকিছু কারণ আছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে বিবেচনায় বিকল্প কর্মসংস্থানের দিকে ঝুঁকবে সবাই। ছোট ব্যবসা, ক্ষুদ্র কারখানা, কৃষিভিত্তিক ব্যবসা বা উদ্যোগ অনেক বেশি বৃদ্ধি পাবে। অর্থ্যাৎ উদ্যোক্তা তৈরি হবে দেশব্যাপী। এসব উদ্যোক্তাদের যোগাযোগ বা চলাচল সুবিধার জন্য মোটরসাইকেল সবচেয়ে বেশি কার্যকর বাহন। তারা বিপুল পরিমাণ মোটরসাইকেল কিনবে। আর আমাদের ইয়ামাহা মোটরসাইকেল চাহিদা শুধু নয় গ্রাহকদের প্রথম পছন্দ। আমরা এসব উদ্যোক্তাদের চিন্তা করেই নতুন নতুন ফিচার যোগ করে বাজারে মোটরসাইকেল নিয়ে এসেছি।
প্রশ্ন : মোটরসাইকেলের চাহিদা কেন কমেনি বা কমবে না ?
সুব্রত রঞ্জন দাস: গণপরিবহন বর্তমানে বন্ধ। যদি সব গণপরিবহন খুলে দেওয়া হয় তারপরও মানুষ আগের মতো আর গণপরিবহন ব্যবহার করতে চাইবে না। তারা গণপরিবহন এড়িয়ে চলার চেষ্টা করবে। কারণ করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বা ঝুঁকি অনেকদিন পর্যন্ত থাকবে। ফলে গণপরিবহনের বিকল্প হিসেবে মোটরসাইকেল সবচেয়ে বেশি নিরাপদ। তাই আগামীতে মোটরসাইকেলের বাজারও আরও বাড়বে।
প্রশ্ন : ইয়ামাহা কেন সবার পছন্দের শীর্ষে?
সুব্রত রঞ্জন দাস: ৯০ শতাংশ মানুষের পছন্দের বাইক ইয়ামাহা। আগে মাত্র ২০ শতাংশ ক্রেতা ইয়ামাহা বাইক কিনতে পারত কিন্তু এখন দাম পরিবর্তনের ফলে প্রায় ৫৭ শতাংশ ক্রেতা ইয়ামাহা বাইক কিনতে পারবে। এছাড়াও মানুষ উৎসাহী হয় এমন সুবিধা যোগ করেছি। আমরা কোয়ালিটি মার্কেট শেয়ার বাড়াতে চাই।
প্রশ্ন: সেসব সুবিধাসমূহ কী কী ?
সুব্রত রঞ্জন দাস: এ সি আই মোটরস ২০১৭ সালে প্রথম দেশের বাজারে নিয়ে আসে ফুয়েল ইঞ্জেশন প্রযুক্তির মোটরসাইকেল। ফুয়েল ইঞ্জেশন প্রযুক্তি হচ্ছে সেন্সর নির্ভর প্রযুক্তি এবং এই প্রযুক্তির বাইকগুলোতে ৮টি সেন্সর এবং বেশকিছু একচুয়েটর রয়েছে। ফুয়েল ইঞ্জেশন ইঞ্জিন হাওয়ায় এটি জ্বালানি খরচ কম এবং কার্বন মনো-অক্সাইড এর নিঃসরণ পরিমাণ অনেক কম, যেটা কিনা পরিবেশবান্ধব। ইয়ামাহার বেশিরভাগ বাইকই যেহেতু ফুয়েল ইঞ্জেশন প্রযুক্তির সেহেতু এর সার্ভিসে ডায়াগস্টিক টুলস (YDT) ব্যবহার করতে হয়। ইয়ামাহা ডায়াগস্টিক টুলস (YDT) হচ্ছে এমন একটি টুলস যা দিয়ে কম্পিউটারের সাহায্যে বাইকের যেকোনো সমস্যা নির্ণয় করা যায়। ২০১৯ সালে এসিআই মোটরস নিয়ে আসে অত্যাধুনিক (Antilock Braking System) প্রযুক্তির বাইক যা বর্তমানে পৃথিবীর সবচেয়ে আধুনিক ব্রেকিং প্রযুক্তি। এই ধরনের প্রযুক্তি আগে শুধু গাড়িতে ব্যবহার হতো। এই ব্রেকিং প্রযুক্তি দুর্ঘটনার সম্ভাবনা অনেকাংশে হ্রাস পায়। অন্য যেকোনো ব্রেকিং প্রযুক্তির থেকে এটি ৩০ শতাংশ বেশি কার্যকরী।
প্রশ্ন: ইয়ামাহা মোটরসাইকেল কী দেশে উৎপাদন করা হয়?
সুব্রত রঞ্জন দাস: ২০১৮ সালে এ সি আই মোটরস এবং ইয়ামাহা মোটর কোম্পানির মধ্যে টেকনিক্যাল কোলাবোরেশন সংক্রান্ত একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এই চুক্তির মাধ্যমে এসিআই মোটরস পর্যায়ক্রমে বাংলাদেশে ইয়ামাহার বিভিন্ন মডেলের মোটরসাইকেল সংযোজন ও উৎপাদন করার অনুমতি পায়। আমরা বাংলাদেশ সরকারের পলিসিগত সহায়তায় গ্রহণযোগ্য দামে বাজারে মোটরসাইকেল সরবরাহের জন্য ১০০ কোটি টাকা বিনিয়োগে গাজীপুরের শ্রীপুরে একটি আন্তর্জাতিক মানের কারখানা গড়ে তুলেছি। কারখানাটি সম্পূর্ণভাবে জাপানিজ তত্ত্বাবধায়নে পরিচালিত হয়। নানান ধরনের জাপানিজ প্রযুক্তি নিয়ে আমাদের মোটরসাইকেল সংযোজন করা হচ্ছে। তবে বাংলাদেশে এখনো সহযোগী প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠেনি। এর জন্য প্রচুর বিনিয়োগ দরকার। মোটরসাইকেল কারখানা বৃদ্ধি করতে হবে প্রচুর ভেন্ডর কোম্পানি থাকা দরকার। সেটা সময় সাপেক্ষ।
প্রশ্ন: সারা দেশে ইয়ামাহা ক্রেতাদের জন্য সার্ভিস কিভাবে দিচ্ছেন ?
সুব্রত রঞ্জন দাস: আমরা ক্রেতাদের কথা চিন্তা করে দেশব্যাপী সার্ভিস সেন্টার স্থাপন করেছি। আমাদের সেলস সেন্টার ও সার্ভিস সেন্টার একই প্রতিষ্ঠান। সেখানে সব ধরনের সার্ভিস দেওয়াসহ স্পেয়ার পার্টস বিক্রয় করা হয়। অর্থ্যাৎ কোনো গ্রাহককে মোটরসাইকেল ক্রয় করার পর তার বিক্রয় পরবর্তী সার্ভিস নিয়ে চিন্তা করতে হয় না। এসিআই মোটরস সারা দেশব্যাপী ৬৭টি থ্রি-এস ডিলার পয়েন্টের মাধ্যমে গ্রাহকদেরকে একই সাথে বিক্রয়, বিক্রয় পরবর্তী সার্ভিস এবং স্পেয়ার পার্টস এর সেবা প্রদান করে। বরাবরই এসিআই মোটরস তার সেরা বিক্রয় পরবর্তী সার্ভিস এর জন্য গ্রাহক সমাজে প্রশংসিত। দেশব্যাপী ১৫০টিরও বেশি সার্ভিস বে- এর মাধ্যমে তারা গ্রাহদেরকে নিরবছিন্ন সেবা দিয়ে যাচ্ছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে আমরা অনলাইনে বুকিং নিয়ে শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত করে গ্রাহকদেরকে সেবা দিচ্ছি।
প্রশ্ন: বাজারে এখন কি কি মডেলের ইয়ামাহা মোটরসাইকেল রয়েছে ?
সুব্রত রঞ্জন দাস: বাজারে ইয়ামাহার বেশ কয়েক ধরনের বাইক পাওয়া যায়। যার মধ্যে রয়েছে স্পোর্টস, ট্যুরিং, কমিউটার এবং লাইফস্টাইল সেগমেন্ট এর বাইক। স্পোর্টস সেগমেন্টে সবচেয়ে জনপ্রিয় হল R15 V 3.0। ৪,৮৫,০০০ টাকা দামের এই বাইকটি ফিচার আর পারফরমেন্স-এ বাংলাদেশে শীর্ষে । নেকেড স্পোর্টস সেগমেন্টে আছে Q MT15 যাকে প্রিমিয়াম স্পোর্টস বাইক ও বলা যায়। Fazer এবং FZS V3.0 ট্যুরিং সেগমেন্টের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয়। এর মধ্য FZS V3.0 বর্তমানে বাইকপ্রেমীদের কাছে খুব প্রিয়। ২,৪০,০০০ টাকা মূল্যের এই বাইকটি লং রাইডের জন্য একটি নির্ভরযোগ্য বাইক, এর একটি বড় সুবিধা হচ্ছে ABS ব্রেকিং প্রযুক্তি ও অতুলনীয় ব্যালেন্স। ঈদ উপলক্ষে বাইকটি পাওয়া যাচ্ছে ২,৩৫,০০০ টাকায়। আর কমিউটার ও লাইফস্টাইল সেগমেন্টে আছে Saluto (125 CC) এবং Street Rally।
Saluto (125 CC) এই বাইকটির বাজার মূল্য ১,২৯,০০০ টাকা । এবছর ঈদ উপলক্ষে ক্যাশব্যাক আছে ৩,০৬০ টাকা। বাইকটি ১২৫ সিসি ক্যাটাগরিতে সবচেয়ে বেশি মাইলেজ দিতে সক্ষম যাতে আরও আছে সর্বোচ্চ গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স ও সবচেয়ে লম্বা সিট। আর Street Rally স্কুটারটি সিটি রাইডারদের কাছে প্রিয়। স্কুটারটি ছেলে এবং মেয়ে উভয়ই চালাতে পারে। এসিআই মোটরস বরাবরই প্রতিযোগিতামূলক বাজারে আকর্ষণীয় দামে গ্রাহকদের কাছে মোটরসাইকেল বিক্রি করে আসছে। সম্প্রতি পরিবর্তিত বাজার ও গ্রাহক চাহিদার কথা মাথায় রেখে এসিআই মোটরস ইয়ামাহা বাইকের মূল্য ১৫ শতাংশ সমন্বয় করেছে। আগে যেখানে ২০ শতাংশ গ্রাহক ইয়ামাহা বাইক কিনতে পারত এখন নতুন পরিবর্তিত মূল্যের কারণে ৬০ শতাংশ গ্রাহক ইয়ামাহা বাইক কিনতে পারবে।
প্রশ্ন: বাংলাদেশ মোটরসাইকেল মার্কেট প্রসারণে কি কি বাধা রয়েছে?
সুব্রত রঞ্জন দাস: সরকার ইতোমধ্যে মোটরসাইকেলের আমদানি শুল্ক নীতিমালা শর্তসমূহ সহজ করার কারণে আমরা মোটরসাইকেলের দাম আগের চেয়ে অনেকটা কমিয়ে আনতে পেরেছি কিন্তু বাংলাদেশ মোটরসাইকেলের রেজিস্ট্রেশন ফি অনেক বেশি। দেড়শ সিসির একটি মোটরসাইকেলে ২ বছরের জন্য রেজিস্ট্রেশন ফি দিতে হয় প্রায় ১৪ হাজার টাকা। এটা অনেক বেশি। রেজিস্ট্রেশন ফি পৃথিবীর আর কোনো দেশে এত বেশি নেই। ভারতে এই খরচ বাইকের মোট মূল্যে ১%। রেজিস্ট্রেশন ফি পৃথিবীর আর কোনো দেশে এত বেশি নেই।
প্রশ্ন: সরকারের কাছ থেকে কি কি সহায়তা চাচ্ছেন?
সুব্রত রঞ্জন দাস : বর্তমান পরিস্থিতিতে সরকারের কাছে আমাদের অনুরোধ থাকবে যাতে করে সরকার মোটরসাইকেল এর রেজিস্ট্রেশন ফি ভারতের মতো বাইকের মোট মূল্যের ১ শতাংশ থেকে ২ শতাংশ করে। বিআরটিএ-র লাইসেন্স প্রদানের সক্ষমতা বৃদ্ধি করা। এ ক্ষেত্রে সরকার তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে আউটসোর্সিং ব্যবস্থা করতে পারে। আর একটি হল মোটরসাইকেল কেনার জন্য বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো থেকে সহজ শর্তে ঋণ বাবস্থা করা। এখনো বাংলাদেশে প্রতি ৭৮ জনে ১ জন মোটরসাইকেল ব্যবহার করে, ভিয়েতনামে যেটি প্রতি ৪ জনে ১ জন।
প্রশ্ন: ইয়ামাহার বাজার পলিসি কীভাবে নির্ধারণ করেন?
সুব্রত রঞ্জন দাস: আমাদের বেশিরভাগ গ্রাহকই এক্সাইটমেন্ট প্রিয় আর আমাদের ব্র্যান্ডের মূল স্লোগান হচ্ছে রেভস ইয়োর হার্ট। তাই এই কথা মাথায় রেখেই আমরা বিভিন্ন মার্কেটিং এক্টিভিটি আয়োজন করে থাকি। ইয়ামাহার উল্লেখযোগ্য এক্টিভিটিগুলোর মধ্যে রয়েছে ঢাকা বাইক কার্নিভাল, গ্রিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড, কক্সবাজার রাইডিং ফিএস্তা ইত্যাদি। এর মধ্যে ঢাকা বাইক কার্নিভাল হয় ২০১৭ সালে যেখানে ৪০,০০০ এরও বেশি বাইকপ্রেমী অংশ নেয়। এটি ছিল বাইকারদের নিয়ে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বাইকিং এক্টিভিটি। এরপর ইয়ামাহা উদ্যোগ নেয় বিশ্ব রেকর্ড করার। ঢাকার আইসিসিবিতে অনুষ্ঠিত হয় আই কার্যক্রমে প্রায় ২৪০০ বাইকার অংশ নেয়। সেখানে ১২৫৭টি বাইক দিয়ে তৈরি করা হয় বিশ্বের সবচেয়ে বড় মোটরসাইকেল ব্র্যান্ড লোগো। যেটি পরবর্তীতে গ্রিনেস কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে বিশ্ব রেকর্ডের স্বীকৃতি পায়। ২০১৯ সালে আয়োজন করা হয় কক্সবাজার রাইডিং ফিএস্তা। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ৮০০-র ও বেশি বাইকার বাইক চালিয়ে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে ২ দিনব্যাপী চলা এই অনুষ্ঠানে অংশ নেয়।
প্রশ্ন: আপনাদের সামাজিক দায়বদ্ধতায় কি কি কার্যক্রম করেন?
সুব্রত রঞ্জন দাস: সামাজিক কর্মকাণ্ডের অংশ হিসেবে আমরা গড়ে তুলেছি ইয়ামাহা রাইডিং একাডেমি। যেখানে জাপানের প্রশিক্ষক দ্বারা প্রশিক্ষিত ট্রেইনাররা আগ্রহীদের বিনামূল্যে বাইক রাইডিং প্রশিক্ষণ দেয়। গত ২ বৎসরে ১৪০০-র বেশি ছেলে-মেয়েরা এই প্রশিক্ষণের আওতায় আসে এবং দক্ষতার সাথে প্রশিক্ষণ নেয়। আমাদের সহযোগিতায় গড়ে উঠা ইয়ামাহা রাইডার্স ক্লাব হলো বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বাইকিং ক্লাব। সারা দেশে রয়েছে এর প্রায় ৩০,০০০ সদস্য যারা বাইকিং এক্টিভিটির পাশাপাশি বিভিন্ন সমাজসেবামূলক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করে থাকে। তাদের উল্লেখযোগ্য কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে, ভালোবাসার লাল সবুজ, ডেঙ্গু সচেতনতায় কার্যক্রম, শীতার্তদের মাঝে তাঁবু বিতরণ, করোনাকালে ২০০০ পরিবারের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ ইত্যাদি।