কৃষিতে বিপ্লব ঘটাবে রত্ন সুষম সার
জমির উর্বরাশক্তি ধরে রাখতে হলে নাইট্রোজেন ও জৈব উপাদানের পাশাপাশি ফসফরাস, পটাশিয়াম, সালফার, জিংক, বোরন, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম প্রয়োজনীয় মাত্রায় থাকতে হয়। ভারসাম্যপূর্ণ ব্যবহার না হওয়ায় কারনে জমির উর্বরাশক্তি ও গুণাগুণ নষ্ট হচ্ছে দিনকে দিন। এ সমস্যা সমাধানে বেশ কার্যকরী ভূমিকা রাখছে এসিআই ফার্টিলাইজারের রত্ন সুষম সার।
বাড়তি চাহিদার কারণে কৃষকরা জমি থেকে বেশি উৎপাদনে মনোযোগী হচ্ছে। কিন্তু জমিকে যে প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান দিতে হবে, সেটি খুব বেশি নজরে আসছে না। ফলে ফসলের উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর পাশাপাশি মাটির গুণাগুণ ধরে রাখতে রত্ন সুষম সার ব্যপক ভূমিকা পালণ করছে। সরকার নির্ধারিত মান অনুসারেই সারটি প্রস্তুত করা হচ্ছে।
রত্ন সুষম সার নিয়ে জানতে চাইলে এসিআই লিমিটেডের সার ব্যবসার বিপনন ও বিক্রয় ব্যাবস্থাপক আসাদুর রহমান জানান, চারটি পুষ্টি উপাদান নাইট্রোজেন, পটাশিয়াম, ফসফরাস, সালফার দিয়ে তৈরি সারটি। এ সার ব্যবহাররে ফলে কৃষক এক সারের মধ্যেই সব পুষ্টি উপাদান পায়। কৃষকরা অনেকক্ষেত্রে বুঝতে পারেননা ফসলে কতটুকু পরিমান ব্যবহার করবেন, যার ফলে গাছ তার কাঙ্খিত পুষ্টি পায়না। সারটিতে চারটি উপাদানের সঠিক মাত্রায় তৈরির ফলে গাছ সঠিক অনুপাতে পুষ্টি পায় এবং সারটি ব্যবহারে কৃষকের সাশ্রয় হয়। গাছ যখন তার প্রয়োজন অনুযায়ী পুষ্টিগুন পাবে তখন ফলনও বেশি পাবে। এ কারনেই দিনদিন রত্ন সুষম সার ব্যবহারে কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে বলে জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, দেশের সিংহভাগ জমিতেই জৈব উপাদানের ঘাটতি রয়েছে। দেশের আবাদযোগ্য জমির মধ্যে উর্বরাশক্তি কমেছে প্রায় ৮৫ ভাগ ভূমির। চাষযোগ্য জমিগুলোতেও প্রয়োজনীয় নাইট্রোজেনের ঘাটতি রয়েছে। এছাড়া জৈব পদার্থের অভাব রয়েছে, এমন জমির পরিমাণও ৩৮ শতাংশ ছাড়িয়েছে। জমিতে সারের ভারসাম্যপূর্ণ ব্যবহার বাড়াতেই এনপিকেএস সার উৎপাদন করা হচ্ছে বলে হচ্ছে।