উৎসবমুখর পরিবেশে কিশোরগঞ্জে এসিআই এনিমেল জেনেটিক্স -এর লাইভস্টক অ্যাসিস্ট্যান্ট সম্মেলন
উৎসবমুখর পরিবেশে কিশোরগঞ্জে এসিআই এনিমেল জেনেটিক্স -এর লাইভস্টক অ্যাসিস্ট্যান্ট সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সমগ্র দেশে এসিআই এনিমেল জেনেটিক্স-এ কর্মরত লাইভস্টক অ্যাসিস্ট্যান্টদের নিয়ে ধারাবাহিকভাবে সম্মেলন-এর অংশ হিসেবে কিশোরগঞ্জ থেকেই তাদের এ কনফারেন্সের যাত্রা শুরু হল। সারাদেশে মোট ১৪ টি স্থানে এ সম্মেলনের আয়োজন করতে যাচ্ছে এসিআই এনিমেল জেনেটিক্স।
এরই ধারাবাহিকতায় এনিমেল জেনেটিক্স মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) কিশোরগঞ্জ জেলার সদরের যশোদল ইউনিয়নের স্কুল মাঠে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রায় ২০০ জন লাইভস্টক অ্যাসিস্ট্যান্টদের মিলনমেলা ঘটেছিল। জমজমাট আয়োজনে কিশোরগঞ্জ জেলায় কর্মরত লাইভষ্টক অ্যাসিস্ট্যান্টরা সকাল থেকেই নানা রকম আনন্দ-বিনোদনে মিলিত হয়েছিলেন।
এআই কর্মীরা পিঠা উৎসব, মোরগ লড়াই, ১০০ মিটার দৌড়, হাটে হাঁড়ি ভাঙ্গা সহ চমকপ্রদ বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় আনন্দঘন একটি দিন পারে করেন। তাদের আনন্দে শরীক হয়েছিলেন এসিআই এনিমেল জেনেটিক্সের এডভাইজার ডা. হীরেশ রঞ্জন ভৌমিক, এসিআই এনিমেল হেলথ-এর চীফ টেকনিক্যাল এডভাইজার ডা. এম এ ছালেক। এসিআই এনিমেল জেনেটিক্সের বিজনেস ডিরেক্টর মোজাফফর উদ্দিন আহমেদ ও এসিস্ট্যান্ট মার্কেটিং ম্যানেজার ডা. মনিরুজ্জামান প্রমুখ।
সারা বৎসর লাইভস্টক অ্যাসিস্ট্যান্টদের পারফরম্যান্সের উপর ভিত্তি করে পুরস্কৃত করা হয়। পুরস্কার হিসেবে তাদের হাতে মোবাইল ফোন ও ৩২ ইঞ্চি টেলিভিশন প্রদান করা হয়। সম্মেলনে চলতি বছরের ২০২২ সালের এআই কর্মীদের কাজের মূল্যায়ন এবং আগামী ২০২৩ সালের বিভিন্ন কর্মপরিকল্পনা সম্পর্কে তাদেরকে অবহিত করা হয়।
এসিআইয়ের সিমেন ব্যবহার করে লাইভস্টক এসিস্ট্যান্টরা যথেষ্ট স্বাবলম্বী হয়েছে, তাদের জীবনযাত্রার মানের উন্নয়ন ঘটেছে। মাস্টার ডিগ্রী অর্জন শেষে তিন বছর চাকুরীর পিছনে ঘুরে ঘুরে ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলেন কিশোরগঞ্জের বায়েজিদ। এআই কর্মী হিসেবে প্রশিক্ষণ গ্রহন করে এসিআই এনিমেল জেনেটিক্সের ডিলারের মাধ্যমে এসিআই সিমেন এখন ছড়িয়ে দিচ্ছেন এলাকার ডেইরি খামারীদের মাঝে। তিনি এগ্রিলাইফকে বলেন, বর্তমানে তিনি তাদের একজন সহযোদ্ধা হিসাবে প্রতিমাসে গড়ে চল্লিশ হাজার টাকা আয়-রোজগার করছেন। গ্রামের মানুষদের মুখে হাসি ফোটানোর পাশাপাশি তার পরিবারেও মুখেও হাসি ফুটিয়েছেন তিনি।
সম্মেলনে এসিআইয়ের সিমেন ব্যবহারের মাধ্যমে এরকম সফলতার গল্প শোনালেন অনেকেই। তারা বলেন, এসিআইয়ের সিমেন ব্যবহারে খামারে গাভীর গর্ভধারণের হার হয় সর্বোচ্চ। এর ফলে ডেইরি খামারীরা এক বাক্যে এসিআই সিমেনের প্রতি দিনদিন আস্থাশীল হয়ে উঠছেন। আগামীতে তাদের কর্মপরিধি আরো বৃদ্ধির মাধ্যমে এলাকার সকল ডেইরিখামাীদের আরো কাছাকাছি আসতে পারবেন বলে লাইভস্টক অ্যাসিস্ট্যান্ট সম্মেলনে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন আগত এআই কর্মীবৃন্দ সকলে।