আলুর ভ্যালেনসিয়া জাতে ৩৭ শতাংশ বেশি উৎপাদন
এসিআই সীড বলছে, ইন্ডাস্ট্রিয়াল গ্রেডের এই আলুর বীজ জয়পুরহাট, রংপুর, রাজশাহী, মুন্সিগঞ্জ, কুমিল্লা, দিনাজপুর প্রভৃতি দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে কৃষকরা মাঠে চাষ করেছে। এখান থেকে হেক্টরপ্রতি ফলন পাওয়া যাচ্ছে প্রায় ৪০ টন, যা সমজাতীয় অন্যন্য জাতগুলোর থেকে প্রায় ৩৭ শতাংশ বেশি।
কৃষকের মাঠ থেকে পাওয়া তথ্য তুলে ধরে বেসরকারী বীজ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানটি জানায়, জাতটি ৫৫-৬০ দিনের মধ্যে বিক্রয় উপযোগী হয়, যা সর্বোচ্চ ৮৫ দিন পর্যন্ত মাঠে রাখা যায়। ৫৫-৬০ দিনের মধ্যে যারা আগাম আলু তুলে বিক্রি করেছে তারা ৩১ মে টন পর্যন্ত ফলন পেয়েছে।
নেদারল্যান্ডসের অন্যতম বৃহৎ বীজ আলু কোম্পানি স্কেপ হল্যান্ড থেকে চলতি বছরে এসিআই রপ্তানিযোগ্য ও শিল্পে ব্যবহার উপযোগী আলুর জাত 'ভ্যালেনসিয়া' দেশে নিয়ে এসে বাজারজাত করে।
এসিআই সীডের বিজনেস অপারেশন ম্যানেজার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, "জাতটিতে শুষ্ক পদার্থের পরিমাণ প্রায় ২২.৫ শতাংশের উপরে এবং তেল শোষণক্ষমতা প্রায় ৩% এর নিচে হওয়ায় এটি সুস্বাদু ফ্রেঞ্চ ফ্রাই তৈরির জন্য অত্যন্ত উপযোগী একটি জাত। আমরা এবারে আশানরূপ ফলনও পেয়েছি।"
তিনি বলেন, "আমাদের দেশে সাদা স্কিন কালার আলুতে একটি সাধারণ রোগ হচ্ছে স্ক্যাব। এই রোগে প্রায় ২০-৩০ ভাগ পর্যন্ত ফলন নষ্ট হয়। ভ্যালেনসিয়া জাতটি স্ক্যাব রোগ সহনশীল হওয়ায় চাষীরা সহজে এই ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পাবেন।"